রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরিত বোমাটি সাধারণ ককটেল থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল এবং বোমাটি আগেই গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল।
আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মালিবাগ মোড়ে বিস্ফোরিত ককটেলটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। এটি একটি ইম্প্রোভাইজড ককটেল।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি মহল জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, ডিবি, সিআইডি ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, আগে থেকেই গাড়িতে ককটেল পেতে রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত রোববার রাত ৯টায় মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া আহত হন।
ট্রাফিক পুলিশের পূর্ব বিভাগের (সবুজবাগ) সার্জেন্ট এনামুল হক জানান, মালিবাগ মোড়ে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশের গাড়ির পাশে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে পাশে থাকা এএসআই রাশেদা ও রিকশাচালক আহত হন। রাশেদার বাঁ পায়ে ও রিকশাচালকের মাথায় আঘাত লেগেছে।
আহত রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় একটি ককটেল তার পাশেই বিস্ফোরিত হয়। এতে তার পায়ে আঘাত লাগে। পাশে পুলিশের গাড়ির পেছনে কিছুটা আগুন ধরে যায়।
এদিকে মালিবাগে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।