নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তিনটি পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এসব হামলা মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী ঘটিয়ে থাকতে পারে।
রবিবার (২৬ মে) দেশটির রাজধানীতে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নগরীর কেন্দ্রস্থলের ঘাটিকুলো আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হন।
ঘটনাস্থলে এলাকাটির বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গোবিন্দ ভান্ডারি রয়টার্সকে বলেন, বড় ধরনের গোলমালের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিস্ফোরণের ধাক্কায় একটি বাড়ির দেয়ালে অনেকগুলো ফাটল ধরেছে।
শহরতলীর সুকেধারা এলাকার একটি সেলুনের সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন।
তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে কাঠমাণ্ডুর থানকোট এলাকায় একটি ইটভাটার কাছে। এখানে দুই জন আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা শ্যাম লাল গাওয়ালি বলেন, ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
আহত সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কোনো গোষ্ঠী এসব বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণস্থলে উপস্থিত রয়টার্সের এক ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে সেলুনটির দরজা-জানালা চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেছে এবং সেনাবাহিনী ওই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা গাওয়ালি আরও জানিয়েছেন, সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীদের দলছুট একটি অংশ যারা তাদের সমর্থকদের গ্রেফতার করার জন্য সরকারের বিরোধিতা করছে, বিস্ফোরণগুলো তাদের কাজ হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা।
তিনি বলেন, প্রথম বিস্ফোরণস্থল থেকে ওই গোষ্ঠীটির একটি পুস্তিকা পাওয়া গেছে।
ওই গোষ্ঠীর কর্মীরা এই বাড়িতে বসে বোমা তৈরি করতো এবং আহতদের মধ্যে একজন গোষ্ঠীটির কর্মী বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, এক দশক ধরে মাওবাদী গৃহযুদ্ধ চলার পর ২০০৬ সালে তা শেষ হয়। সাবেক বিদ্রোহীদের প্রধান অংশটি যে দলে যোগ দিয়েছিল তারাই এখন সরকার পরিচালনা করছে।
ফেব্রুয়ারিতে সাবেক বিদ্রোহীদের দলছুট অংশটি কাঠমাণ্ডুতে একই ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, তাতে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছিলেন।