স্ত্রীকে খুনের পর তার কাটা মুণ্ডু ব্যাগে ভরে সটান থানায় হাজির হয়েছেন এক যুবক। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবক অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, সকাল ছ’টার দিকে উদভ্রান্তের মতো পাথরপ্রতিমা থানায় হাজির হয় এক যুবক। তার হাতে ছিল একটি ব্যাগ। থানার ভেতর ঢুকে প্রথমেই ডিউটি অফিসারের সঙ্গে দেখা করে থানার কর্মকর্তার খোঁজ করে অভিজিৎ। কারণ জানতে চাইলে সে স্ত্রী অম্বা দাসকে খুনের কথা জানায়।
সব শুনে হতভম্ব হয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। যুবককে বসতে বলেন তিনি। এরপরই ব্যাগ থেকে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু বের করে পুলিশ সদস্যদের দেখায় সে।
লক্ষ্মী জনার্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ জানায়, সোমবার ভোরেই স্ত্রী অম্বা দাসের হাত-পা-মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ দেয় সে। তারপরই কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় হাজির হয়।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাথরপ্রতিমা থানা চত্বরে ভিড় বাড়তে শুরু করে। যুবককে গ্রেপ্তারের পর তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির সাড়ে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিকই ছিল। তাই স্ত্রীকে খুনের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দিল্লিতে থাকত অভিযুক্ত অভিজিৎ। কয়েক দিন আগে বোনের বিয়ে উপলক্ষে স্বামী, সন্তানকে নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন অম্বা।
শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত একটু সমস্যা চলছিল অভিযুক্ত যুবকের। সেই কারণেই এই ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।