মুসলিম হওয়ার কারণে এবার ভারতে গুলিবিদ্ধ হলেন মোহাম্মদ কাশিম (৩০) নামে এক যুবক। বর্তমানে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজীব যাদব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাজীব যাদব রাস্তায় এক ফেরিওয়ালাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করেন। ওই ফেরিওয়ালা জানান তার নাম মোহাম্মদ কাশিম। নাম শুনেই মদ্যপ যুবক তাকে বলেন, ‘এখানে কী করছিস? পাকিস্তানে যা।’
একপর্যায়ে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর একটি পিস্তল বের করে কাশিমের পিঠে গুলি করেন রাজীব।
গুরুতর আহতাবস্থায় কাশিম এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই আসনে সদ্য হেরে যাওয়া ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) নেতা কানহাইয়া কুমার অভিযোগ করেছেন, যে নেতারা এ ধরনের বিদ্বেষের রাজনীতি ছড়িয়েছেন, তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী। অপরাধীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
কানহাইয়ার দাবি, তার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বেগুসরাইয়ের বিজয়ী সাংসদ, বিজেপির গিরিরাজ সিংহ-এর আগে দেশের একাধিক ব্যক্তিকে পাকিস্তানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজীবের কথাতেও তাই সেই গিরিরাজেরই ছায়া দেখা গেল।
এর আগে গত শনিবার হরিয়ানারাজ্যের গুরগাঁও জেলার গুরুগ্রামে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এক দল লোক।
মারধরের শিকার মোহাম্মদ বরকত নামে ওই ব্যক্তি জানান, নামাজ শেষে মাথায় টুপি পরে ফিরছিলেন, পথে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এর মধ্যে একজন অকথ্য ভাষায় ডাক দিয়ে বলে এই এলাকায় টুপি পরা নিষেধ। এর পর তাকে মারধর করা হয়।
একই দিন হিজাব পরায় ভারতের উত্তরবঙ্গের একটি মেডিকেল কলেজে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়া গত ২৪ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে গোরক্ষকদের নির্যাতনের শিকার হন এক নারীসহ তিন মুসলিম। তাদের নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।