যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ পর্যন্ত আচরণ পরিবর্তন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে কোনো আলোচনায় না বসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আলোচনার প্রস্তাবকে তার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতেও প্রতিফলিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়েদ আব্বাস মুসাভি এ আহ্বান জানান।
গত সোমবার টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সংকট প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন চায় না যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তিনি আবারও ইরানকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুসাভি বলেন, ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠস্বর এখন যেমন নিচু হয়েছে, এমন পরিবর্তন তার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতেও প্রতিফলিত হতে হবে। কারণ তেহরান বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্যে তেমন মনযোগ দেয় না।
নিজস্ব পর্যবেক্ষণ এবং এ অঞ্চলে মার্কিন পদক্ষেপের কী প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইরান সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটবার্তায় বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব কথা বলেছেন তা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ট্রাম্পকে প্রমাণ করতে হবে তিনি বি-টিমের চেয়ে ভিন্ন কোনো লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আরব আমিরাতের যুবরাজ বিন জায়েদকে বি-টিমের চার সদস্য বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।