Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ সোমবার, জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিজেপিকে ঠেকাতে দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ মমতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০১:৪৪ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ০১:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


বাম লাল পতাকা সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দখল করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র গেরুয়া উত্থানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল। হারাতে বসেছেন রাজ্যের ক্ষমতা। নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার পর নতুন করে সব ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা। দলের নীতিতেও আনতে যাচ্ছেন পরিবর্তন।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

রাজ্যে অবস্থান শক্ত করতে বাঙালিয়ানা ও বাঙালি- এই দুই বিষয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অভ্যন্তরে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজ্যে বাঙালি জনসংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি। বাংলা ভাষায় কথা বলেন এমন মানুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশ। বাঙালিয়ানার বিষয়টিকে তুলে ধরে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে বিভেদ ঘোচানোর জন্যও তৃণমূল কাজ করবে। বাঙালিয়ানার পাশাপাশি হিন্দু ভোট নিজেদের দখলে রাখতেও তৃণমূল যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেই বার্তাও সুদীপের কথায় মিলেছে।

তিনি বলেন, 'রাজ্যের দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসব হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে, তার দাবি আমি সংসদে তুলব।'

দীর্ঘদিনের সাংসদ সুদীপ সপ্তদশ লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগেই দুর্গাপুজো নিয়ে এহেন দাবি তুলে ধরার কথা সামনে আনায় বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

রাজ্যে বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে, হিন্দু ভোটে থাবা বসিয়েছে। আর সেটা অনুধাবন করে তৃণমূলও কি আগামী দিনে নরম হিন্দুত্বের রাস্তা অবলম্বন করতে চলেছে- এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা সামলে নেবেন বলেও দাবি করেছেন সুদীপ।

এদিন তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজমুখে বলেছেন বেশি করে দলের দিকে মন দেবেন। জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন। প্রথম দিন থেকে মমতার সঙ্গে রয়েছি। তিনি একবার জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেই সবকিছু পাল্টে যাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।'

রাজ্যে বিজেপি এতটা ভালো ফল করবে, সেটা দল আন্দাজ করতে পারেনি জানিয়ে সুদীপ বলেন, 'এত আচমকা সবকিছু ঘটেছে যে, এমন ফল হতে পারে কেউই আন্দাজ করতে পারেনি। সারা দেশ পারেনি। পশ্চিমবঙ্গও পারেনি।'

তিনি বলেন, 'আমরা ৩৪ থেকে ২২ হয়েছি বলে মনে হচ্ছে সংখ্যাটা কম। কিন্তু এই ঝড়ের মধ্যেও ২২টি আসন নিয়ে সংসদে বসে থাকা কম ব্যাপার নয়।'

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব শুরু হলেও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে বলেই বিশ্বাস সুদীপের।

তিনি বলেন, 'আসলে এসব করে আমাদের বিব্রত করার একটা চেষ্টা হচ্ছে। বেশি কিছু করতে পারবে না। কারণ, বাংলায় টাকা দিয়ে বিধায়ক, সাংসদ কেনাবেচার সংস্কৃতি নেই।'

Bootstrap Image Preview