উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে নারীদের রোজই ধর্ষণ করা হতো- সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে সমালোচনায় এসেছিল দেশটির প্রশাসন। ফের উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের নিয়ে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশটিতে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়তই ঘুষ দিতে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা এমনই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।
এক সাংবাদিক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ায় জীবনযাত্রার মান কীভাবে নেমে গেছে তার বর্ণনা দেন অনেকে। তাদের দাবি, ঘুষ হিসেবে নগদে টাকা দিতে হয়। না হলে সরকারি কর্মকর্তারা সিগারেটও নেন ঘুষ হিসেবে। এমনকি নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, দেশটিতে দুর্নীতি এমন লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছেছে যে নিয়মিত ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন সেখানকার নাগরিকরা। এতে নতুন করে সমালোচনায় দেশটির নেতা কিম জন উন। কিন্তু এই সমীক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
কিম জং উন প্রশাসন এই সমীক্ষাকে রাজনৈতিক উদ্দশ্যে প্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছে।
অন্যদিকে ওই সমীক্ষা বলছে,উত্তর কোরিয়ার অবস্থা ভয়ঙ্কর। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারাই দেশের সাধারণ নাগরিকদের হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। গ্রেপ্তার করার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আর তাই নিজেদের বাঁচাতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা।
উত্তর কোরিয়া পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাদের পরমাণু শক্তিকে বৃদ্ধি করা নিয়ে বিতর্ক লেগেই থাকে সবসময়। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারের বিষয়টি নজরেই আসে না। সেই সুযোগে উত্তর কোরিয়ার মানুষ মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে বলে জাতিসংঘের দাবি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখার দাবি,অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য,স্বাধীনতা সারা বিশ্বে ন্যূনতম অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেই অধিকার থেকে উত্তর কোরিয়ার ১০ মিলিয়ন মানুষ বঞ্চিত। উত্তর কোরিয়ার ২১৪ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারা প্রাণ বাঁচাতে সে দেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।