সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের স্ত্রী নাছিমা জামান। পেশায় গৃহিনী। তবে তিনি গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। সম্প্রতি দুদকের অনুষন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এরকমই চমকপ্রদ এক তথ্য।
বুধবার (২৯ মে) সকল তথ্য অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের সহকারি পরিচালক মাহবুবুল আলম নাছিমা জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের স্ত্রী নাছিমা জামান অবৈধভাবে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬ টাকা। এর মধ্যে দুই কোটি ৪ লাখ ৪ হাজার ১২৮ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এছাড়া দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ৯ টাকার সম্পদের তথ্যও গোপন করেছেন।
এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে, রাজধানীর ইন্দিরা রোডে ৬ তলা বাড়ি রয়েছে নাছিমার। প্রতি তলার আয়তন ২০১৫ বর্গফুট এবং চিলেকোঠা ৫৫৮ বর্গফুট। এছাড়া কেরানীগঞ্জের আলগী মৌজায় ৩১ শতাংশ নাল জমি, বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৫ এ ১৬১ বর্গফুটের দোকান, রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় ৩ কাঠা জমিতে অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স বাড়ি এবং উত্তরার তৃতীয় পর্বে ৪ শতাংশ জমি রয়েছে নাছিমার নামে। এর বাইরে অত্যাধুনিক টয়োটা গাড়িসহ আবদুল্লাহপুরের তাসিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন এই নারী।
অপরদিকে, নাছিমা জামানের স্বামী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে একই সময় আলাদা আরেকটি মামলা করেছেন দুদকের এই কর্মকর্তা।
প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুজ্জামান ১৯৮০ সালে উপ-সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে যোগ দেন। তারপর নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে ২০১৬ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একই বছরে তিনি অবসরে যান। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কামরুজ্জামান ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ৩০ লাখ ৪২ হাজার ১১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।