Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামীর কাটা মাথা নিয়ে থানায় স্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯, ১২:৩৪ PM
আপডেট: ৩১ মে ২০১৯, ১২:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


বছরের পর বছর নির্যাতন সইতে না পেরে শেষমেশ স্বামীকে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, স্বামীকে হত্যার পর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় গিয়েও আত্মসমর্পণ করেছেন ওই নারী। ভারতের আসামের লখিমপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবারের এ ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এর আগে নারীর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবারই প্রথম কোনো নারী এমন ঘটনা ঘটিয়ে চমকে দিয়েছে পুলিশকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারীর নাম গণেশ্বরী বার্কাটাকি। ৫৫ বছর বয়সী স্বামী মুধিরাম দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত বয়স ৪৮ বছর বয়সী এ নারীর ওপরে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাতে দায়ের কোপে মুধিরামকে হত্যা করে গণেশ্বরী। এরপর স্বামীর মাথা আলাদা করে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে থানায় আসে ওই নারী। আচমকাই কাটা মুণ্ডু হাতে ঢালপুর থানায় তাকে দেখে রীতিমতো চমকে যান পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশের কাছে গণেশ্বরী বলে, 'অনেক বছর ধরে স্বামী আমাকে মারধর করত। অনেক সময় আমার ওপর কুড়ুল নিয়েও আক্রমণ করেছে। গুরুতর আহতও হয়েছি বহুবার। অনেকদিন আগেই ভেবেছিলাম, স্বামীকে ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু ৫ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সেটা পারিনি। কিন্তু যখন অত্যাচার সহ্যের সীমা ছাড়াল তখন বাধ্য হয়েই ওকে খুন করি। আমি ওকে না মারলে ও-ই আমাকে মেরে ফেলত।'

পুলিশ জানায়, স্বামীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করে ওই নারী। অভিযুক্তের বয়ান সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার গণেশ্বরীকে আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Bootstrap Image Preview