ইসলামি আইন ভঙ্গের অভিযোগে তেহরানে ৫৪৭টি রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই আইন 'অপরাধে' ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, ইসলামি ঐতিহ্য না মানায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই রেস্তোরাঁগুলো ইসলামি আইন ভঙ্গ করেছে। এখানে উচ্চ স্বরে গান বাজানো হতো, যা শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। তা ছাড়া যৌনতা থেকে মদ, মাদক- সবই চলতো, যা ইসলামি সংস্কৃতির বিরোধী। সে জন্যই এগুলোকে বন্ধ করানো হয়েছে। এমনিতেই তেহরানে মদ নিষিদ্ধ।
পুলিশের ভাষ্য, 'আমাদের কাজ হচ্ছে কোথাও নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে কি না, তা দেখা। আমাদের মনে হয়েছে এই রেস্তোরাঁগুলো সে সবই অতিক্রম করে গিয়েছে। তারা কোনও আইনই মানছে না। সে জন্যই এই ব্যবস্থা।' এই আইন ভাঙার 'অপরাধে' ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তেহরানের 'গাইডেন্স কোর্টের' প্রধান জানিয়েছেন, এ রকম অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে পুলিশকে জানাতে চান, কিন্তু কী করে তা করবেন বুঝতে পারেন না। তাদের জন্য একটা ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম বেচাল দেখলেই তারা যেন অভিযোগ জানান। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে। গাড়ির মধ্যে কেউ হিজাব সরাচ্ছেন কি না, নারী-পুরুষ কোথাও একসঙ্গে নাচছেন কি না, ইনস্টাগ্রামে কোনও অনৈতিক পোস্ট হচ্ছে কি না - এ সবকিছু নিয়েই অভিযোগ জানানো যাবে।
২০১২ সালে তেহরান সরকার নির্দেশ দেয়, রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে এসে ক্রেতারা কী করছেন তার উপর নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বহু রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যায়।