বিজ্ঞানের আর প্রযুক্তি যতই উন্নতি হউক না কেন কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস যেন সাধারণ মানুষের পিছু ছাড়ছে না। এক্ষেত্রে আবার এক কাঠি এগিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকজন। সে দেশের গ্রাম এলাকার লোকজন এখনও নানা ধরনের কুসংস্কার আর ধর্মীয় গোড়ামিতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। শুধু গ্রাম বলি কেন, কলকাতা বা দিল্লির মতো শহরেও ধর্মগুরুর কথায় পরিবারের সবাইকে হত্যার ঘটনা মাঝে মধ্যেই শোনা যায়।
এবার জমিতে বেশি ফসল পেতে নিজের ভাতিজার মাথা কাটলো আপন চাচা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উড়িশ্যা রাজ্যের নৌপাড়া জেলায়।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত শনিবার (৮ জুন) সকালে চিন্তামণি মাঝি তার ভাইয়ের বড়ছেলে ১৮ বছরের দের্বাচনকে নিয়ে জমিতে কাজ করতে যান।
স্থানীয় সময় সকাল ৯:৩০টা নাগাদ তার ছোট ভাতিজা (১২ বছর) তাদের জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যায়। তখন মাঝি গাছ কাটার অজুহাতে ছোট ভাইপোকে অন্য জমিতে নিয়ে যান। সেখানেই তার মাথা কেটে হত্যা করেন। কান্নার আওয়াজ শুনে ছেলেটির বড় ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির গলাকাটা মরদেহ দেখে হতবাক হয়ে যায় ৷ তখন সে চিৎকার করতে শুরু করে।
তার চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন সেখানে ছুটে আসে। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ৪৮ বছর বয়সী চাচা চিন্তামণি মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার ওই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন।