এখনো খোঁজ মেলেনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভের। সৌরভের সন্ধান চেয়ে তার মা ইয়াসমিন ও বাবা মানিককে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ সময় তিনি সৌরভের সন্ধান পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। এ ঘটনায় নিজেই তদন্তে নামবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
লাইভে সোহেল তাজ বলেন, ‘দেশের কল্যাণে আমি কিছু উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। এরইমধ্যে আমার ভাগনে নিখোঁজ হলো। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আমরা সৌরভকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং আমি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’
তিনি বলেন, সৌরভের মা-বাবা এখন আমার বাসাতেই আছেন। এ সময় তিনি সৌরভের বাবা-মায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
সৌরভের বিষয়ে পুলিশ আপনাদের কোনো সহযোগিতা করছে কিনা, সোহেল তাজের এমন প্রশ্নের জবাবে নিখোঁজ সৌরভের বাবা বলেন, থানা থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। আমি নিজেই যোগাযোগ রাখছি। ওসি জিজ্ঞাসা করেন- আপনারা সংবাদ সম্মেলনের পরে কোনো খবর পাননি? আমি বলেছি, এটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষসহ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এখনো কোনো সন্ধান পাইনি।
সিসিটিভির ফুটেজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে অনেক তথ্য রয়েছে। ফুটেজ দেখে অনেক বিষয় শনাক্ত করা সম্ভব।
ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, এর আগে আমার ছেলেকে রোজায় বনানীর বাসা থেকে যারা তুলে নিয়ে যায়, তারাই নির্দোষ বলে ফেরত দিয়ে যায়।
‘তারা র্যাব-১ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ছেলেকে পৌঁছে দেয়ার পর সাদা কাগজে আমাদের হেফাজতে দেয়া হয়েছে বলে লিখিয়ে নেয়া হয়েছে তখন।’
ওই সময় র্যাব জানায়, আমরা একটা তথ্য থেকে তাকে আটক করেছিলাম। কিন্তু সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাই তাকে আপনার হেফাজতে দিয়ে গেলাম।
ফেসবুক লাইভে সৌরভের মা ইয়াসমিন জানান, সৌরভ বলেছে- মা, আমাকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আমাকে চাকরি দেবে। ওরা চাকরি দেয়ার কথা বলে সৌরভকে ডেকে নিয়ে গেছে। যে দিন ও এ-বাসা থেকে বের হয়, সেদিন ও নিজের সব সনদপত্র সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল।
নিখোঁজ হওয়ার একদিন আগে ওরাই সৌরভকে ফোন দিয়ে ডেকে নেয় দাবি করে ইয়াসমিন বলেন, ৯ জুন দুজন অফিসার চট্টগ্রাম আসে। তারা ওকে নিয়ে গেছে বলে আমার ধারণা।
গত ৯ জুন চট্টগ্রামে চাকরির সিভি জমা দিতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণ সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভের খোঁজ এখনো মেলেনি।
পরিবারের দাবি, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করানো হয়েছে। সৌরভের পরিবার চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন সুন্নিয়া মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা। সৌরভ ব্র্যাক ও ইউনিসেফের জনসচেতনতামূলক শর্ট ফিল্ম বানাতেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।