Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ বুধবার, মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রিফাতের খুনিদের ধরতে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৯, ০৩:৪৬ PM
আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯, ০৩:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে স্ত্রীর সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য তাদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা এ তথ্য জানান।

এআইজি বলেন, আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রিফাত হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি, র‌্যাব ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। আশা করছি, সব আসামিকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকিদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যায় অংশ নেয় নয়ন বন্ডসহ ৪-৫ জন। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশলাইন সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকেন।

রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

Bootstrap Image Preview