প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য শিমুল সিমান্ত সেতুকে (২০) শুক্রবার গাইবান্ধার থেকে আটক করেছে র্যাব ১৩ একটি টিম।
এবিষয়ে র্যাব-১৩ কোম্পানি কমান্ডার মুন্না বিশ্বাস ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, আটকের সময় এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন দীর্ঘদিন ধরে শিমুল সিমান্ত অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। সে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য।
জানাযায়, শুক্রবার সকালে গাইবান্ধায় প্রাথামিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর আগ থেকে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন সরবরাহের পাঁয়তারা করছিল শিমুল সিমান্ত। গোপন সূত্রে খবর জানতে পেরে র্যাব-১৩-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শিমুল সিমান্তের গ্রামের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৩ কোম্পানি কমান্ডার মুন্না বিশ্বাস জানান, আটকের পর শিমুল সিমান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা হাতিয়ে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া গেছে শিমুল সিমান্তের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা হয়েছে। শিমুলের সঙ্গে জড়িত চক্রটিকেও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
শিমুল সিমান্ত সেতু ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। সেতু বগুড়া টিএমএসএস পলিটেকনিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।