সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির ঘটনায় ঝিনাইদহে আটক ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে প্রশান্ত কুমার, আল মামুন, তাইনুল আলমকে দুই দিন করে এবং হাসান ইকবাল ও রিপন হোসেনকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে বাড়ির মালিক আব্দুল মজিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেননি আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুজ্জামান জানান, গত ২১ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগ মুহূর্তে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিল জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা। এ সময় নগদ টাকা ও ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ শহরের আরাপপুর নিউ একাডেমি স্কুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রশান্ত কুমার, বাড়ির মালিক আব্দুল মজিদ, আল মামুন, তাইনুল আলম, হাসান ইকবাল ও রিপন হোসেনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় পাবলিক পরীক্ষা ও প্রতারণা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এর প্রেক্ষিতে রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের আদালতে হাজির করলে বিচারক প্রশান্ত কুমার, আল মামুন, তাইনুল আলম এবং হাসান ইকবাল ও রিপন হোসেনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, এরা দীর্ঘদিন ধরেই এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এদের সঙ্গে হয়তো আরো অনেকেই জড়িত আছে, যারা এদের সহযোগিতা করছে। রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাসের বিষয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আটকরা হলো- জেলা শহরের আরাপপুর এলাকার বাড়ির মালিক আব্দুল মজিদ, সদরের গোপালপুর এলাকার অরুন কুমারের ছেলে প্রশান্ত কুমার, শৈলকুপার রানীনগর গ্রামের রোজদার মিয়ার ছেলে আল মামুন, একই উপজেলার সিদ্ধি গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে তাইনুল আলম, উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে হাসান ইকবাল ও রানীনগর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রিপন হোসেন।