পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহরের ১৪০ কিলোমিটার দূরে আছে ৫০০ বছরের পুরনো শিখ তীর্থস্থান। তার নাম বাবে দে বের গুরুদোয়ারা। আগে ওই তীর্থস্থানে যেতে পারতেন না ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা। সম্প্রতি তার দরজা ভারতীয় শিখদের জন্য খুলে দিয়ে নজির গড়েছে দেশটি।
সোমবার পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্র জানিয়েছে এই খবর।
এতদিন পাকিস্তান, ইউরোপের নানা দেশ, কানাডা ও আমেরিকার শিখ তীর্থযাত্রীরা ওই গুরুদোয়ারায় যাওয়ার অনুমতি পেতেন। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গভর্নর মহম্মদ সারওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এবার ভারতীয় তীর্থযাত্রীরাও ওই তীর্থস্থানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
প্রতিবছর ভারত থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী পাকিস্তানে গুরু নানকের জন্মস্থান ও মৃত্যুর স্থানে তীর্থযাত্রা করতে যান। বৈশাখী উৎসব উপলক্ষেও পাকিস্তানে তীর্থ করতে যান অনেকে। ষোড়শ শতাব্দীতে গুরু নানক কাশ্মীর থেকে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম করেন। পরে সর্দার নাথা সিং সেখানে একটি গুরুদোয়ারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তান কর্তারপুর করিডোর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে নানকের সমাধিস্থল পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা ভিসা ছাড়াই ওই পথ দিয়ে কর্তারপুর সাহিবে যেতে পারবেন।