সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের হাতে জখম শিশু শাহীনের ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে।
সোমবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নাঈমুল ইসলাম নাঈমকে তার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে আরশাদ পাড় ও বাকের আলীকে আটক করে সাতক্ষীরার পুলিশ।
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো.সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও ৩-৪ জন জড়িত রয়েছে। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল। দুপুরে দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ভাড়া নেয়। পরে ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটখেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনার আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে আনা হয়। শনিবার রাতেই তার মাথার অপারেশন সম্পন্ন হয়।