সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল-মেটংঘরের সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ব্রিজের কারণে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ এলাকার লক্ষাধিক মানুষকে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরমধ্য ঘোড়াশাল এলাকার ব্রিজের গর্তগুলো যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সরেজমিন ঘুরে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীকাইল-মেটংঘর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিনই এ সড়ক ও ব্রিজের ওপর দিয়ে জনসাধারণ ঢাকা, কুমিল্লা, কোম্পানিগঞ্জ, মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানায় যাতায়ত করছে। এছাড়াও শ্রীকাইল বাজার, সরকারি কলেজ, হাই স্কুল, গার্লস স্কুল ও সোনাকান্দা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ শ্রীকাইল নতুন গ্যাস ফিল্ডে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মেটংঘর থেকে শ্রীকাইল যাওয়ার পথে ঘোড়াশাল এলাকার বড় একটি ব্রিজ বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচ বছর আগে মোটরসাইকেলে করে রাতে টহল দেওয়ার সময় ব্রিজের ফাটল দিয়ে নিচে পড়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। সবাই এখন এই ব্রিজের পাশে বাপেক্সে নির্মিত বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। তবে সংযোগ সড়কটি পাঁকা না হওয়ায় নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ঘোড়াশাল গ্রামে আরও একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার অবস্থা। স্টিলের পাটাতনে ছোট বড় একাধিক ছিদ্র রয়েছে। প্রায়ই সিএনজি চালিত অটোরিকশার চাকা ওই ছিদ্রে আটকে যায়। সোনাকান্দা কবরস্থান সংলগ্ন ব্রিজটি কয়েকটি স্থানে ডালাই ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের মাঝখানের অংশ ধসে পড়ায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঘোড়াশাল এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, ঘোড়াশাল এলাকার ব্রিজসহ শ্রীকাইল-মেটংঘর সড়কের বাকী দুটি ব্রিজও ঝুঁকিপূর্ণ। রাতে এ ব্রিজগুলোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের দাবি পরিত্যক্ত ব্রিজগুলো যেন দ্রুত পূনঃনির্মাণ করা হয়।
মুরাদনগরের সিএনজি চালক আবুল খায়ের জানান, শ্রীকাইল-মেটংঘর সড়কে যাত্রী নিয়ে আসলে দুর্ভোগে পড়তে হয়। ব্রিজগুলোর কারণে রাতে আমরা এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করি না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ জানান, নতুন ব্রিজ র্নিমাণের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি হচ্ছে। প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হলেই নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।