ফেনীর সোনাগাজী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক শুক্কুর আলীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল পারভেজ বলেন,‘শুক্কুর আলী ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। গত এপ্রিল মাসে একাধিক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে তাকে সতর্ক করে দেন। সম্প্রতি যৌন হয়রানির ওই অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সোমবার স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জরুরি সভার মাধ্যমে ওই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান জানান,স্কুলের লাইব্রেরিয়ান কামরুন নেছার সঙ্গে পরীক্ষার হলে ডিউটি করার সময় তার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরিয়ান কামরুন নেছাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক শুক্কুর আলী বলেন,‘যৌন হয়রানির কথিত অভিযোগে আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য লাইব্রেরিয়ান কামরুন নেছা কনা দায়ী। তার সঙ্গে কথাকাটির জেরে ধরে তিনি আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দাঁড় করিয়েছেন।’
তবে লাইব্রেরিয়ান কামরুন নেছা কনা বলেন,‘ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বিষয়ে আমি কারও কাছে কোনও অভিযোগ করিনি।’