Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্মার্টকার্ড নিতে এসে দিনদুপুরে অজ্ঞান ৩০ জন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫০ PM
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নে সোম, মঙ্গল ও বুধবার স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। স্মার্টকার্ড নিতে এসে প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ৩০ জন অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত তিনদিনে প্রায় নয় হাজার ভোটারের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় নয় হাজার ভোটারকে স্মার্টকার্ড নিতে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্মার্টকার্ড নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদিন স্মার্টকার্ডের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। খালি মাঠে ছাউনি ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিলে সুষ্ঠুভাবে আমরা কার্ড নিতে পারতাম। প্রচণ্ড রোদের তাপ ও ভিড়ের মধ্যে পড়ে তিনদিনে অন্তত ৩০ জন অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বদরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, মাঠে বাঁশের বেড়া ও ওপরে ছাউনি দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তা আমার জানা নেই।

হাসাইল-বানারী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য কুদ্দুস মুন্সী ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী আকবর ঢালী জানান, নির্বাচন অফিস থেকে চিঠি দিয়েছে কিনা আমরা জানি না। চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানাননি।

৭নং ওয়ার্ডের বৃদ্ধ ভোটার চাঁন মিয়া বেপারী বলেন, ভোটের সময় ভাই ভাই, ভোট গেলে পাশে কেউ নাই। ভোট দিয়া চেয়ারম্যান বানাইছি, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্মার্টকার্ড বিতরণের মাঠে বাঁশের বেড়া ও ছাউনি দিতে তিন-চার হাজার টাকা লাগতো। কিন্তু তা না দিয়ে চেয়ারম্যান হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিলেন। প্রচণ্ড রোদের তাপে বুধবার প্রায় আটজন ও গত দুইদিনে ২২ জন মানুষ অজ্ঞান হয়ে মাঠে শুয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, স্মার্টকার্ড নিতে এসে প্রচণ্ড রোদের তাপ ও ভিড়ের মধ্যে পড়ে গত তিনদিনে অজ্ঞান হয়ে পড়া ৩০ জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।

এ ব্যাপারে জানার জন্য চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারকে ফোন দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

Bootstrap Image Preview