Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিষেধাজ্ঞাকে ‘সব রোগের ওষুধ’ হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র: পিয়ংইয়ং

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০১৯, ০২:১২ PM
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯, ০২:১২ PM

bdmorning Image Preview


পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্প্রতি দুই দেশ সম্মত হলেও যুক্তরাষ্ট্র ‘শত্রুতাতামূলক আচরণে নাছোড়’ হয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ‘নিষেধাজ্ঞার ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে আছে’ বলে এক বিবৃতিতে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘে কার্যরত উত্তর কোরীয় মিশন।

ওয়াশিংটন কোরীয় উপদ্বীপের ‘শান্তিপূর্ণ আবহকে নষ্ট করার’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। নিষেধাজ্ঞাকে ‘সব রোগের ওষুধ’ হিসেবে দেখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছে পিয়ংইয়ং।

রবিবার দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তের অসামরিক এলাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হওয়ার মাত্র তিন দিন পর উত্তর কোরিয়ার এ বিবৃতি এল। ওই দিন ট্রাম্প প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অল্প সময়ের জন্য উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশও করেছিলেন। দুই নেতা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথাবার্তা বলেন। এ সময় তারা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে থেমে থাকা আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়েও সম্মত হন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ বিবৃতি তাদের ওই অবস্থান থেকে সরার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে পরিশোধিত পেট্রল আমদানির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ তুলেছে বিবৃতিতে তার জবাব দিয়েছেন তারা। আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মিলিত চিঠিরও জবাব দিয়েছেন তারা। ওই চিঠিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানোর আহŸান জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাব দিচ্ছেন, সেই একই দিন এই যৌথ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। ওই চিঠিতে এই সত্যই প্রকাশ পেয়েছে, প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শত্রæতামূলক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আরও বেশি নাছোড় হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে যে শান্তির আবহ তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে তা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে সজাগ থাকতে হবে।’

Bootstrap Image Preview