ভারতের আসাম রাজ্যে নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার কথা বলে একই পরিবারের দু'জন নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন হুসেন আলি (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে গণপিটুনি দিয়েছেন সেই কবিরাজকে। এতে নিহত হয়েছেন ঐ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আসামের কার্বি আংলং জেলার সিতোই আদং গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। আর গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীদের বেশিরভাগই ছিলেন নারী।
পুলিশ জানায়, ধর্ষক কবিরাজের বাড়ি হোজাই জেলার রাইকাটায়। ১ জুলাই চিকিৎসার অজুহাতে সিতোই আদম গ্রামে গিয়েছিলেন হুসেন আলি। ওই গ্রামে চোখের দৃষ্টি হারানো এক নারীকে দেখার পর তিনি জানান, ৩ জুলাই আবার আসবেন তিনি। সেই মোতাবেক সেদিন সে আবার আসে ঐ মহিলার বাড়িতে এবং চিকিৎসার নামে ওই নারীর নাকে কিছু শুকিয়ে অর্ধচেতন করেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার আবার আসেন ঐ মহিলার বাড়িতে এবং ওই নারীর আত্মীয় ১৬ বছর বয়সী এক মেয়েকেও ধর্ষণ করেন হুসেন আলি।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী আটক করে তাকে। যেখানে গ্রামবাসীর একটি বড় অংশ ছিলেন নারী। সবাই মিলে গণপিটুনি দিলে কবিরাজ মারা যান।