Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিশু সায়মার ধর্ষণকারী কে এই হারুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর ওয়ারীর বাসায় শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে শিশুটির বাবা আবদুস সালাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেন।

আজ রবিবার সায়মার হত্যাকারীকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার যুবকের নাম হারুনুর রশীদ। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়।

ঘটনার পর হারুন পলাতক ছিল। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইফতেখার আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে হারুন।

এদিকে শিশু সায়মার বাবা আব্দুস সালাম জানান, হারুন ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের খালাতো ভাই। সে ভবনের ৮ তলায় পারভেজের বাসায় থাকতো এবং ঠাটারিবাজারে একটা রঙের দোকানে কাজ করতো।

দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সামিয়া আক্তার সায়মা। বাবা-মা আদর করে ডাকতো সায়মা বলে। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত সে। গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ওয়ারি এলাকায় বহুতল ভবনের সবচেয়ে উপর তলার একটি শূন্য ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে সায়মার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বাবা-মার সঙ্গে সায়মা ওই ফ্ল্যাটেরই ষষ্ঠ তলায় থাকতো। ওপর তলার একটি ফ্ল্যাটে প্রায় প্রতিদিনের মত ওই দিন বিকেলে খেলতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সাত বছরের সায়মা। সন্ধ্যার পরও ঘরে না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে রাত আটটা নাগাদ শিশুটির রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়।

সায়মার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। গত ফেব্রুয়ারিতে ওই ভবনে ফ্ল্যাট কেনার পর তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে ওঠেন

পুলিশ বলছে, হারুনই ভবনের অন্য একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে সায়মাকে হত্যা করেছে। ফাঁকা ফ্ল্যাটটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। এ কারণে সেখানে কেউ বসবাস করছিল না।

শনিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের পর ডাক্তাররা তাদের রিপোর্টে বলেছেন, শিশুটিকে জবরদস্তি করে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে শিশুর বাবা আব্দুস সালাম বাদি হয়ে ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। ভবনের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সন্দেহে কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপর ঘাতক হারুনুর রশীদকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

Bootstrap Image Preview