Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ বৃহস্পতিবার, জুন ২০২৫ | ১১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রাইমারী শিক্ষকের পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন, পাত্রীর থাকতে হবে ১০ কোটি টাকা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:২৫ PM
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:২৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ছোট ও উচ্চবিত্ত পরিবারে পাত্রীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা চাই। প্রকৃত বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন পাত্রী যোগাযোগ করুন।’এ ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের এক বাংলা দৈনিকে বিয়ের ওই বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়েছে। পাত্রের মাথা ঠিক আছে কি না সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকে। আর এমন বিজ্ঞাপনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নারীবাদিরা। তারা বলছেন, ওই স্কুলশিক্ষক এই বিজ্ঞাপন দিয়ে সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করেছেন।

জানা গেছে, ৪২ বছর বয়সী পাত্রটির উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। পরিবারের একমাত্র পুত্র তিনি।, বাড়ি উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে। নিরামিষভোজী পাত্র আবার ঘরজামাই থাকতে চান বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞাপনে।

শিলিগুড়িতে থাকলে তবেই বিয়ে করবেন তিনি এমন কথাও উল্লেখ করেছেন। এমন পাত্রের ডিমান্ড দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেক মেয়ের বাবা। ১০ কোটি টাকা থাকলে এমন পাত্রের সঙ্গে কেনই বা কেউ বিয়ে দেবেন পাত্রীকে সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ-কেউ।

প্রশ্ন উঠেছে ওই পাত্রের পেশা নিয়ে। একজন স্কুলশিক্ষক কীভাবে এ ধরনের চাহিদার কথা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান, সে কথাই বলতে শুরু করেছেন তারা। প্রশ্ন তুলেছেন মনোবিদরাও। তারা বলছেন, পণ নিয়ে বিয়ে করাই তো বেআইনি। এখানে তো আবার টাকার কথাও উল্লেখ করেছেন পাত্র।

এ বিষয়ে এক মনোবিদ রসিকতা করে বলেছেন, যিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তিনি ১০ কোটি টাকা গুনতে পারবেন তো! ওই ব্যক্তির বাস্তব সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। তাই এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

মনোবিদ দোলা মজুমদার বলেন, এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। কোনও একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ব্যক্তি এসব লিখছেন। তার ব্যক্তিত্বে সমস্যা রয়েছে। তিনি আদৌ চাকরি করেন কি না সন্দেহ। আশা করি, ওই পাত্রকে কেউই বিয়ে করতে রাজি হবেন না।

পাত্রের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। তিনি উত্তরবঙ্গেই বিয়ে করতে চান, সেকথাও উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে লিখেছেন প্রকৃত বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন পাত্রীই যেন ফোন করেন।

এদিকে, ওই পাত্রের দেওয়া ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মনে করা হচ্ছে, বিজ্ঞাপন দেখে বহু লোকের বিদ্রুপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই হয়তো ফোন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ওই পাত্র। ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। প্রশ্ন তুলেছেন, একজন শিক্ষকের যদি এই রুচি হয়, তবে ছাত্ররাই তার কাছ থেকে কী শিখবে?

Bootstrap Image Preview