গণবিক্ষোভের মুখে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন বিলের ‘মৃত্যু’ হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন দেশটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রত্যাবর্তন বিলটি নিয়ে সরকারের চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো ঘোষণা দেননি ক্যারি। ওই বিলে প্রস্তাবিত আইন অনুসারে হংকং থেকে চীনসহ যেকোনো দেশে অপরাধীদের প্রত্যাবর্তন করা যাবে। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা এই আইন পাস হলে স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে চীনের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার লাম বলেন, ‘বিক্ষোভের মুখে বিলটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো অনেকের মনে সন্দেহ রয়ে গেছে যে, সরকার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে বিলটি পাসের প্রক্রিয়া ফের শুরু করতে পারে। তাই আমি ফের বলছি, সরকারের এরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। বিলটির মৃত্যু হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে এই প্রত্যাবর্তন আইনের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়। দাবি জানায়, আইনটির প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার। চাপের মুখে প্রত্যাবর্তন বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপনের সময়সীমা পিছিয়ে দেয় হংকং সরকার।
কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে একেবারে বাতিল করা হয়নি। লাম জানিয়েছেন, আইনটি নিয়ে হংকং সরকার যথাযথভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই বিলটি নিয়ে হংকং সরকার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে। এমনকি আন্দোলনকারীরা অঞ্চলটির পার্লামেন্ট ভবনেও ঢুকে পড়ে অবরুদ্ধ করে সরকারি দফতরগুলো।