Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গভীর রাতে ইমরান এইচ সরকারের সার্টিফিকেট চুরি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫২ PM
আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫২ PM

bdmorning Image Preview


গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারীতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা জমির দলিল, স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে ইমরান এইচ সরকারের সার্টিফিকেটগুলোও নিয়ে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

ইমরান এইচ সরকারের পিতা মতিউর রহমান বলেন, বাড়িতে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকে না। গত রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে আমরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়েছিলাম। বৃষ্টি হওয়াতে কোনো শব্দ টের পাইনি। সকালে উঠে দেখি ইমরানের রুমসহ পাঁচটি রুম খোলা।

তিনি বলেন, চোরেরা ঘরের বিভিন্ন কাগজপত্র এলোমেলো করেছে। ইমরানের সার্টিফিকেটগুলো খুজে পাচ্ছি না। জমির দলিল ছিল সেগুলোও নেই। কয়েকটি নতুন কাপড় ও গয়না ছিল সেগুলোও নেই। এসব স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড় চোপরের মুল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

ইমরান এইচ সরকারের মা হাসিনা সরকার জানান, বুধবার সকালে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান বাড়ির সামনে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পরে বিল্ডিংয়ের ৫টি কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরের ভেতরে গহণা ও মূল্যবান দলিলপত্র দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।

ঢাকায় অবস্থানরত ইমরান এইচ সরকার বলেন, সকালে বাবার কাছে ফোনে এ খবর পেয়েছি। বাড়িতে আমার মূল্যবান অনেক কাগজপত্র ও সার্টিফেকেট ছিল, সেগুলো নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন কিছু কাপড় ছিল সোনার গয়না ছিল সেগুলোও গায়েব। বিষয়টি আমি কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

খবর পেয়ে রাজীবপুর থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান ও পুলিশের একটি দল বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের দাবি এটি ডাকাতি নয় দুধর্ষ চুরি।

এ বিষয়ে এসআই সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরেজমিন জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছি ঘরগুলোতে তালা দেয়া ছিল না। ঘরের আসবাবপত্রের বিভিন্ন ড্রয়ারে রাখা কাগজপত্র এলোমেলো করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে কি কি চুরি হয়েছে নির্দিষ্ট করে তিনি বলতে পারেননি ইমরান এইচ সরকারের বাবা।

রাজীবপুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকে এটিকে ডাকাতি বলে গুজব ছড়ালেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি চুরি ছাড়া কিছুই না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview