Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ বুধবার, মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

টানা ভারি বর্ষণে পানিবন্দি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৯ AM
আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালী উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে সাতকানিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব এলাকা দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদী ও খালের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। সাতকানিয়ার বাজালিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য বরাদ্ধ দেওয়া হলেও তা এখনও পৌঁছেনি বন্যা কবলিত মানুষের কাছে।

গত শনিবার থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়। সাতকানিয়ায় বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল ও দুইশ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।

তিনি জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সাতকানিয়ার কেওচিয়া, বাজালিয়া, পুরানগড়, ছদাহা, পশ্চিম ঢেমশা, ঢেমশা, নলুয়া, আমিলাইশ, চরতী, সাতকানিয়া পৌর এলাকাসহ আরো বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।

এসব এলাকার শত শত মৎস্য খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় চাষিদের বড় ক্ষতি হয়েছে। সবজি চাষিদেরও ক্ষতি হয় ব্যাপক। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, উপজেলা পরিষদের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, কেওচিয়ার তেমুহনী এলাকার জনসাধারণ চলাচলের একমাত্র সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে এখন নৌকা চলছে। ঢেমশা বড়ুয়াপাড়া সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ওই এলাকার মানুষ।

সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফি জানান, ছদাহা ইউনিয়নের উকিয়ারকুল এলাকায় হাঙ্গর খালের শ্রোতে বেশ কয়েকটি দোকান ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Bootstrap Image Preview