Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আরও ৫ জেলা প্লাবিত হয়ার আশঙ্কা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪০ AM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪০ AM

bdmorning Image Preview


টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে আরও ৫-৬টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।

৯৩টি নদ-নদীর পানি ১২ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দশ জেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আগামী ৩-৪ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলে এবার দেশের ২০ জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার ও নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বাইরে ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের আসাম, বিহার ও মেঘালয়সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শুধু দেশের ভেতর বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতির এমন অবনতি হতো না। পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে।

সমন্বয় কমিটি সভায় জানানো হয়, ইতিমধ্যেই দুর্গত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে এসব জেলায় ৫০০টি করে তাঁবু ও মেডিকেল টিম পৌঁছে যাওয়ার কথা। সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে (সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাঁচতলা) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে, যাতে পানিবাহিত রোগ বিস্তার রোধ করা যায়। খাদ্যগুদামে কর্মরতদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় মাঠপর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

৯৩ নদ-নদীর ১২ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে : পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৯৩টি নদ-নদীর পানি ১২ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীর পানি ৭৭ পয়েন্টে বৃদ্ধি ও ১৪ পয়েন্টে হ্রাস পেয়েছে।

এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী, সাঙ্গুসহ প্রধান নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসংলগ্ন ভারতের বিহার ও নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম, ১০৯০-তে বন্যার পূর্বাভাস : পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৪২৫ কক্ষে যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে তার ফোন নম্বর ০২৯৫৭০০২৮। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র’-এর টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বরে ফোন করার পর ৫ প্রেস করে বন্যার পূর্বাভাসসংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।

Bootstrap Image Preview