Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

তান্ত্রিকের ঘর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১২:১৭ PM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১২:১৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হলো তান্ত্রিকের ঘর থেকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক তান্ত্রিক। নিখোঁজ ওই যুবকের সঙ্গে আসা এক তরুণীও। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার বেতবেড়িয়ার রামকৃষ্ণ পল্লি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নরবলির জন্য খুন নাকি অন্য কিছু- যুবকের এই হত্যারহস্য উদঘাটনে তান্ত্রিক এবং ওই তরুণীর খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা সত্য হাওলাদার তন্ত্রসাধনা করেই দিন কাটান। তার কাছে প্রতিদিনই বহু লোকজন আসেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে সত্য হাওলাদারের বাড়িতে আসেন ওই যুবক। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রতিবেশীদের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধই ছিল তান্ত্রিকের ঘরের দরজা। দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় অবাক হয়ে যান তান্ত্রিকের ছেলে সঞ্জয় হাওলাদার। বাবার খোঁজ নিতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করেন তিনি। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।

ভেতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান সঞ্জয়। তিনি দেখেন, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবক। তবে ঘরে বাবাকে দেখতে পাননি তিনি। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কুড়াল দিয়েই যুবককে কোপানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, মোক্ষলাভের আশায় নরবলি দিতে গিয়েই মেরে ফেলা হয়েছে ওই যুবককে।

দিন কয়েক আগে আসামে শিক্ষক পরিবারের শিশুকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই তান্ত্রিক এবং শিশুর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এতে জখম হন দুজন। পরে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর পরিবারের সদস্য এবং তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview