গৃহপরিচারিকার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর বেকায়দায় পড়েছেন তৃণমূলের এক নেতা। স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় অভিযুক্ত নেতাকে হাতেনাতে ধরেছেন সেই নারীর স্বামী।
বৃহস্পতিবার(১২ জুলাই) রাত থেকে স্থানীয় এক স্কুলে দু’জনকে বেঁধে রেখেছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্তের কাছে চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলাড়ি গ্রামে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জয়দীপ পাল, আউশগ্রামের বিল্লগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূলের ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে কাজ করছেন বেলাড়ি গ্রামের তাঁতপুকুর পাড় এলাকার ঐ আদিবাসী নারী।
অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঐ নারীর স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর তার বাড়িতে যান এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে ফিরে এসে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এরপরই এলাকার লোকজনকে ডেকে অভিযুক্ত জয়দীপ পাল ও নিজের স্ত্রীকে স্থানীয় স্কুলে বেঁধে রাখেন তিনি।
শুক্রবার সকালেও এলাকায় একই অবস্থা বজায় ছিল। দু’জনকে দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সেখানে যায় পুলিশ। তবে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা।
ঐ নারীর স্বামী এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, ১৫ লাখ টাকা এবং কিছু জমি লিখে দিলে, তবেই ছাড়া পাবেন অভিযুক্ত নেতা। নাহলে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, তৃণমূল নেতা হওয়ার পাশাপাশি বড় পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে অভিযুক্ত জয়দীপ পালের। অনেক পৈতৃক সম্পত্তিও রয়েছে তার। তার স্ত্রী ও ছেলে থাকে বর্ধমানে।
ঐ নারী দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন। সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
ঐ নারীর স্বামী জানান, অনেকদিন আগেই এই সম্পর্কের বিষয়ে তার সন্দেহ হয়েছিল। হাতেনাতে দু’জনকে ধরতেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা জয়দীপ পাল বলেন, রাতের অন্ধকারে ঐ নারীকে তার বাড়িতে রাখতে এসেছিলেন তিনি। তখনই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে।