Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শনিবার, মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবৈধ ৭ হাজার অভিবাসী তাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪০ AM
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪০ AM

bdmorning Image Preview


যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। রোববার শুরু হওয়া এ অভিযানকে কেন্দ্র করে শহরে শহরে আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দশ শহর থেকে অভিবাসী তাড়ানোর এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শহরগুলো হচ্ছে- ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, হিউস্টন, আটলান্টা, বাল্টিমোর, ডেনভার, মায়ামি ও সান ফ্রান্সিসকো।

এ ১০ শহরের পাঁচ থেকে সাত হাজার অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে শহরের মেয়র, আইনজীবী, বিরোধী দল, স্থানীয় প্রশাসন- সবাই। খবর দ্য হিল ও নিউইয়র্ক টাইমসের।

শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ‘এদের ধরে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে আর অপরাধী হলে জেলে ঢোকানো হবে। আমরা সেসব লোকজনকে খুঁজছি, যারা আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়েছে আর ফেরত যায়নি।’ জানা গেছে, যেসব অভিবাসীর অব্যাহত অবস্থানের বিরুদ্ধে আদালত এরই মধ্যে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান। আদালত থেকে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নিজ দেশে না ফিরলে মার্কিন আইনে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক বিভাগের (আইসিই) অভিবাসন পুলিশের এ অভিযানে অভিবাসীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। দি ইমিগ্রেশন হাবের ডেপুটি পরিচালক সার্গিও গঞ্জালেস বলেন, দশটি শহরের পাঁচ থেকে সাত হাজার অভিবাসীকে আটকের টার্গেট রয়েছে আইসিই’র। নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাসিও বলেন, সময়ের আগেই আমাদের শহরে মার্কিন প্রশাসনের অভিযান শুরু হয়েছে।

এদিকে এ অভিযানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিরোধী দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এ বিক্ষোভে যোগ দেন। আটলান্টার মেয়র কেইশা ল্যান্স বোটমস বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসী মানেই তারা অপরাধী নন। এ অভিযান সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।’

তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ বলেন, ‘আমাকে এ অভিযানের ব্যাপারে আগে জানানো হয়নি। মিয়ামির নাগরিক সবাই শান্তিতে আছেন। এ অভিযানের কারণে সেই শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনসমীক্ষা ব্যুরোর তথ্যানুসারে, দেশটিতে বিদেশি বংশোদ্ভূত প্রতি চারজনের একজন অবৈধ। অর্থাৎ মোট অভিবাসীর মধ্যে ২৩ শতাংশই অবৈধ।

পিউ রিসার্চ সেন্টার জানায়, আনুমানিক ১ কোটি ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৫২ লাখ বৈধ অভিবাসী রয়েছেন। এছাড়া সাময়িক আইনি বৈধতা নিয়ে বসবাসকারী অভিবাসী রয়েছেন প্রায় ২২ লাখ।

অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিস্ফোরণ প্রচেষ্টা, নিহত ১ : ওয়াশিংটনের টাকোমা শহরের অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিস্ফোরণ প্রচেষ্টাকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে নর্থ-ওয়েস্ট ডিটেনশন সেন্টার নামক আটক কেন্দ্রে পুলিশ এ অভিযান চালায়। নিহত ব্যক্তির নাম উইলেম ভান স্প্রনসেন (৬৯)। টাকোমা পুলিশ বিভাগ জানায়, গুলির ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ সদস্যকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠিয়ে তদন্ত চলছে।

নিউইয়র্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন স্থবির হয়েছিল। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ বিপর্যয় ৩ ঘণ্টারও বেশি স্থায়ী ছিল। এতে অন্ধকারে ছিল প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ। নিউইয়র্কের দমকল বিভাগ জানায়, ম্যানহাটনে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় এ ঘটনা ঘটে।

ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের ফিফথ অ্যাভিনিউ থেকে হাডসন নদীর মধ্যবর্তী ৪০তম থেকে ৭২তম স্ট্রিট পর্যন্ত এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। নিউইয়র্কের নাটকপাড়া ব্রডওয়ের অনেকগুলো সাটারডে নাইট শো শুরু হতে বিলম্ব হয়। নাটক দেখতে আসা লোকজন হলের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।

অন্ধকারে অপেক্ষমাণ লোকজনকে মিউজিক্যাল ড্রামা হেডসটাউনের কলাকুশলীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গেয়ে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করে। কয়েকটি সাবওয়ে ট্রেনে যাত্রীরা আটকা পড়ে। ১৯৭৭ সালেও এই একই দিনে নিউইয়র্কে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তখন ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।

Bootstrap Image Preview