রাজধানীর শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় ৭৩ নং তন্ময় জুয়েলার্সে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় রহস্য উৎঘাটনসহ এক জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ’র ওয়ারী জোনাল টিম। গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী বন্ধুর নাম মো. রাজিব ওরফে সাদ্দাম (২৮)।
গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে অনুমান ৩ মাস পূর্বে ভিকটিম মো. মনির হোসেন (২৮) এর সাথে সাদ্দামের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়।
বন্ধুত্বের সূত্রে গত ৫ জুলাই, ২০১৯ তারিখ শুক্রবার বিকাল অনুমান সাড়ে চারটায় সাদ্দাম ধোলাইপাড়ের তন্ময় জুয়েলার্সে আসে এবং মনির ও সে একত্রে দুই রাত সোনার দোকানে ঘুমায়। ৬ জুলাই, ২০১৯ রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে সাদ্দাম দুইটি আমের জুস কেনে এবং জুসের একটি বোতলে ঘুমের ট্যবলেট মিশিয়ে মনিরকে খাওয়ায় এবং ভালো জুসটি সে নিজে খায়। এরপর ঐদিন রাত অনুমান সাড়ে দশটায় ভিকটিম মনির তার দোকান বন্ধ করে সাদ্দামসহ পাশের একটি হোটেলে রাতের খাবার খায়।
খাওয়া দাওয়া শেষে দুইজনই রাত অনুমান সাড়ে বারটায় অর্থাৎ ইং ৭ জুলাই, ২০১৯ একত্রে ওই স্বর্ণের দোকানে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর অনুমান পাঁচটায় সাদ্দাম ঘুম থেকে উঠে দেখে তার বন্ধু মনির ঘুমাচ্ছে। তখন সে তার বন্ধু মনিরের গলায় একটি নাইলন এর রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিম মনিরের নাক ও মুখে বালিশ চাপা দিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করে।
মৃত্যুর পরে মনিরের লাশ উপুড় করে রাখে এবং পাশ থেকে সিন্ধুকের চাবি নিয়ে সিন্ধুক খুলে সিন্ধুকের ভিতরে থাকা ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় ৭০ ভরি রৌপালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৭ জুলাই, ২০১৯ ডিএমপি’র শ্যামপুর থানায় একটি মামলা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ’র ওয়ারী জোনাল টিম ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ১৪ জুলাই, ২০১৯ রাত সাড়ে দশটায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার রাড়ীকান্দী থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. রাজিব ওরফে সাদ্দাম তার সুকেচ এর ড্রয়ার হতে আংটি, কানের দুল নাকফুল বিভিন্ন ডিজাইনের স্বর্ণলংকার ওজন অনুমান ৩ ভরি ২ আনা ৪ রতি এবং রৌপ্যলংকার ও ব্রোঞ্জ এর চুরি বিভিন্ন ডিজাইনের ৩৭ ভরি ১৪ আনা উদ্ধার করা হয়।