Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতীয় জাল রুপি তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৩ জন গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯, ১০:০৬ AM
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯, ১০:০৬ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আসন্ন কোরবানীর ঈদে ভারত থেকে পোশাক ও কোরবানির গরু আমদানির কাজে কৌশলে জাল ভারতীয় রুপি পাচারের উদ্দেশ্যে সক্রিয় হওয়া একটি জালিয়াত চক্রের সন্ধান এবং বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপি ও রুপি তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৩ কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- রফিকুল ইসলাম খসরু, মো. আব্দুর রহিম ও জনি ডি কস্তা।

১৫ জুলাই, ২০১৯ মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা এলাকার পলাশবাগ মোড়ের একটি আবাসিক ভবনের অষ্টম তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে এ ভারতীয় জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধানসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ৯ জুলাই রামপুরার উলন রোডের একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যমানের জাল বাংলাদেশী টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। সেখানে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় রুপি তৈরীতে ব্যবহৃত বিশেষ ফয়েল পেপারের সূত্র ধরে এই জাল ভারতীয় রুপি তৈরীর কারখানার সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ভারতীয় ৫০০ ও ২০০০ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট সাড়ে উনিশ লক্ষ জাল রুপির নোট এবং জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ১টি কালার প্রিন্টার, ১টি লেমিনেশন মেশিন, জাল রুপি তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কালি, সিকিউরিটি সিল সম্বলিত স্ক্রীন বোর্ড, গাম ও ভারতীয় জাল রুপি বানানোর জন্য ব্যবহৃত সিল মারা ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সামনের কোরবানির ঈদে পোশাক ও গরু আমদানির কাজে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জাল ভারতীয় রুপি পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হবার উদ্দেশ্যে সক্রিয় হয় এই জালিয়াত চক্রটি। চক্রটির মূল নেতৃত্ব রফিকুল ইসলাম খসরুর হাতে। বিভিন্ন স্থান হতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ এবং প্রস্তুতকৃত জাল ভারতীয় রুপি দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোরের আগ্রহী ব্যসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার দায়িত্ব ছিল তার। যদিও আসল ভারতীয় রুপির সাথে এই চক্রের প্রস্তুতকৃত জাল রুপির স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান থাকায় তাদের চালান ফেরত আসে প্রথম দিকে। যার ফলে আরো সুচারুরূপে সুক্ষ্মভাবে প্রায় নির্ভুলভাবে জাল রুপি বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। একাজে কারিগর হিসেবে কাজ করত আব্দুর রহিম ও জনি ডি কস্তা।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় জাল নোট সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে তারা আবারো নোট জালিয়াতির কাজে লিপ্ত হয়। এছাড়া তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Bootstrap Image Preview