জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য অপেক্ষা করতে হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে।
শনিবার জবি ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে উপস্থিত হওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরুর জন্য অপেক্ষা করতে হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
ছাত্রলীগের সম্মেলন সকাল ১১ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। এর ১০ মিনিট পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে এর আগে সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল টিটন বলেন, সাধারণ সম্পাদকের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে সভাপতিও গিয়েছিলেন। তারা সেখান থেকে ফিরতে দেরি হয়েছে। এজন্য হয়ত আসতে একটু দেরি হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধান বক্তা বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাযনির্বাহী সদস্য এ্যাড. কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু সহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনের পর ১৭ অক্টোবর শাখা ছাত্রলীগের ৩৯ সদস্যের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা মারামারি ও সংঘর্ষের কারণে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর প্রায় ৬ মাস পরে সম্মেলন হচ্ছে।