Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ রবিবার, মে ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মোবাইল চার্জে লাগিয়ে কথা, বিস্ফোরণে যুবতীর ‍মৃত্যু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০২:৩৮ PM
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০২:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


মোবাইলে চার্জ দেওয়া অবস্থায় ফোনে কথা বলার সময় শর্ট সার্কিট হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রিয়া বন্দোপাধ্যায় (২৩) নামে এক যুবতীর ‍মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার শহর দুর্গাপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ঘরে একা ছিলেন রিয়া। নিজের মোবাইল ফোনটির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা চার্জে দেন তিনি। ওই সময়ই একটি কল আসে। চার্জে থাকা অবস্থাতেই ফোন কানে কথা বলতে থাকেন তিনি। হঠাৎ সেই ফোনে বিস্ফোরণ ঘটে। চিৎকার করতে করতে জানালার কাছে এসে প্রতিবেশীদের সাহায্য চান যুবতী।

রিয়ার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজনরা ছুটে আসেন। ঘরে ঢুকে দেখেন প্রায় পুরো ঘরেই আগুনে জ্বলছে। বিছানা পুড়ে গিয়েছে। ঘরের ইলেকট্রিক বোর্ডেও আগুন লেগেছে। আর শরীরে আগুন লাগায় চিৎকার করে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন রিয়া। রিয়ার শরীরের উপরের অংশে বিস্ফোরণের ফলে সম্পূর্ণ ঝলসে যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, রিয়ার মাথা চুলও আগুনে পুড়ে যায়। ওই অবস্থায় রিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে। রিয়ার মা ছায়া বন্দোপাধ্যায় অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী। বাবা শ্যামল বন্দোপাধ্যায় দুর্গাপুরের এক সিমেন্ট কারখানার ঠিকা কর্মী। একমাত্র বোন কলেজে পড়েন। দুর্ঘটনার সময় কেউই বাড়িতে ছিলেন না।

সম্প্রতি সরকারি নার্সিং কলেজে সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়া। এমনকি তার বিয়ের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাবা-মা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসার পর মৃত্যু হয় ওই যুবতীর। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।’

রিয়ার মা ছবি বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতেই পারিনি। প্রতিবেশীরাই বলল মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে। কিছুক্ষণের জন্য টাকা তুলতে বাইরে বের হয়েছিলাম। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল। আমার ফুটফুটে মেয়েটা জ্বলে গেল।’

দুর্গাপুরের ফায়ার সার্ভিসের ওসি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

Bootstrap Image Preview