গ্রামবাসীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, রাতে একদল ছেলেধরা গ্রামে আসছে। এই গুজবে গ্রামবাসীরা রাস্তা আটকাতে গাছ ফেলে রাখে। ঘটনাক্রমে রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি করে আসেন তিন কংগ্রেস নেতা। তারা এসে দেখেন রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে তারা ভয় পেয়ে যান। আর সেই ভয়ই তাদের বিপত্তি ডেকে আনে। গণপিটুনির শিকার হয়ে ঠাই হয় হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার নবলসিন গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গণপিটুনিতে আহত তিন কংগ্রেস নেতা হলেন- ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধার্মু সিংহ লাঞ্জিওয়ার এবং ললিত বরাস্কর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তিন কংগ্রেস নেতা যখন গ্রামে প্রবেশ করেন তখন তারা দেখতে পান, গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে তারা মনে করেন, কোনও ডাকাত দলের কাজ এটা। ফলে তারা পেছনে ফিরে যেতে চান। তখনই তাদের তাড়া করে গ্রামবাসী। দ্রুত ওই নেতাদের গাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর গাড়ি ভেঙে নেতাদের বের করে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক রামস্নেহী মিশ্র বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে কংগ্রেস নেতাদের পিছু নেয় গ্রামবাসী। তারা গাড়ির উপর আক্রমণ করে। ওই তিন নেতাকে তারা মারধর করে। এ ঘটনায় বেতুল থানার পুলিশ একটি মামলা ফাইল করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের মতো ভারতেও ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে কয়েক জেলায় ইতোমধ্যে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গণধোলাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। এতে কয়েকজন নিহতের খবরও পাওয়া গেছে।