ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ২২ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফিরোজ কবীর। এই অল্প সময়ের মধ্যে ফিরোজের চিকিৎসা খরচ বাবদ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা বিল ধার্য করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২২ ঘণ্টা চিকিৎসা নেওয়ায় স্কয়ার হাসপাতাল তার বিল করেছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকা। যা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও মনগড়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় ফিরোজকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ফিরোজকে স্কয়ার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) মারা যান ফিরোজ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রমাণ করেন হাসপাতালের বিলটি বানোয়াট এবং মনগড়া। ঔষধের নামে ইচ্ছেমতো বিল ধরা হয়েছে। রক্তে ক্রসম্যাচ করা না হলেও বিল বানানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে ইচ্ছেমতো বিল বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কয়ার হাসপাতালের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কয়ার হাসপাতালকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রেশন এন্ড ফুড সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ফিরোজকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২৫ জুলাই রাত ১১ টা ২২ মিনিটে। ফিরোজ মারা যায় ২৬ জুলাই রাত ৯ টা ১০ মিনিটে। ২২ ঘণ্টারও কম সময়ে বিল এসেছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা।
রক্তে ক্রসম্যাচ দেখানো হয়েছে যেটা হাসপাতালে করা হয়নি। ঔষধ বাবদ দেখানো হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। অথচ ডাক্তার বলেছেন স্যালাইন এবং ঢাকা মেডিকেলের নরমাল কিছু ঔষধের কথা যা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হতে পারে।
উল্লেখ্য, এবছর মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সরকারি তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাবি ছাত্র ফিরোজসহ অন্তত নয়জন মারা গেছেন।