Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবারের কোরবানিতে সেই সিনবাদ, দাম ২৫ লাখ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯, ১০:১১ PM
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সাদা শরীরে মুখমণ্ডল কালো চক্বর, উঁচু চূড়া, ঝুলে থাকা গলাকম্বল প্রায় মাটি ছুঁই ছুঁই করছে। মাথায় লম্বা শিং, নাম সিনবাদ।শান্ত স্বভাবের ওজন প্রায় দুই টন।

ব্যয়বহুল এ গরু পালন করেছেন উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল হোসেন। সৌখিন ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তিনি। দাম চাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা।

চার পায়ে দাঁড়ানো এ বিশাল গরুর পাশে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হচ্ছেন দর্শনথীরা। সারা দেশের সবচেয়ে বৃহৎ গরু এটি বলে দাবি মালিকের।

সূত্র জানায়, সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল হোসেন অনেক আদর-যত্নে বিশাল দেহের (হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান) ষাঁড় গরু পালন করে এলাকায় হৈচৈ ফেলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উৎসুক জনতার ভিড় তার বাড়িতে। সিনবাদ নামে তার এ ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ৯৬ ইঞ্চি, উচ্চতা ৬ ফিট ৭ ইঞ্চি ও ওজন প্রায় দুই টন। ওজনের সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করছেন তিনি। গত বছর ঈদে ওজন ছিল ৩৪ মণ, উপযুক্ত দাম না পেয়ে বিক্রি হয়নি তখন।

মোটা অঙ্কের মূলধনের বিশাল ঝুঁকি নিয়ে মালিক বিল্লাল হোসেন লালন করেছেন বিশাল কোরবানির এ পশুটিকে। চার বছর ৭ মাস বয়সী সিনবাদের রয়েছে খাবারের ব্যয়বহুল দীর্ঘ তালিকা। এর মধ্যে দশ কেজি গমের ভুসি, দুই কেজি মালটা, ৩-৪ ডজন কলা, ১ কেজি গুর, ভুট্টা ভাঙ্গা, ছোলা ভাঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস। চিকিৎসকের পরামর্শে এসব খাবারে ব্যয় প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা।

সিনবাদের থাকার ঘরটাও বেশ রাজকীয়। ঘরের মেঝে সম্পূর্ণ পাকা, পায়ে ব্যথা যাতে না পায় সে জন্য মেঝেতে কার্পেট এবং গরম থেকে সুরক্ষার জন্য মাথার ওপরে তিনটি সিলিং ফ্যান চলছে নিয়মিত। ২৪ ঘণ্টায় ৫-৬ বার সিনবাদকে গোসল করানো হয়।

সিনবাদের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, সিনবাদকে নিজের সন্তানের মতো আদর করে বড় করে তুলেছি। সৌখিন শিল্পপতি খদ্দেরের অপেক্ষা করছি। চাহিদা বুঝে ২৫ লাখের কমেও বেঁচতে হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ ওষুধ ব্যবহার করা হলে এই ভ্যাপসা গরমে সিনবাদকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খোরশেদ আলম বলেন, মোটা অঙ্কের মূলধনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলায় বিগত বছরেও বৃহদাকার গরু পালন করে একাধিক ব্যক্তি তাক লাগিয়েছেন। এ সব খামারিদের প্রায় নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভালো বাজার পেয়ে লাভবান হলে ভবিষ্যতে খামারিরা উৎসাহিত হবে।

Bootstrap Image Preview