Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মির সীমান্তে ভারতীয় সেনা নিহত, ১০ হাজার জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৮ AM
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৮ AM

bdmorning Image Preview


জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে ভারতীয় এক সেনা জওয়ান নিহত হয়েছে। ল্যান্স নায়েক রাজিন্দর সিং নামে ওই জওয়ান ৫৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। আজ (শনিবার) উত্তর কাশ্মিরের কুপওয়াড়া জেলার মছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-পাক সেনা জওয়ানদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণের মধ্যে ওই সেনা সদস্য নিহত হন।

এক কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে মছিল সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় পোষ্ট লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় ভারতীয় সেনাবাহিনী কঠোর ও কার্যকরভাবে পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে জবাব দিয়েছে। পুলিশ বলছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মছিল সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করলে ওই ঘটনায় এক সেনা জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হন। তাকে দ্রুত সামরিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের এক নির্দেশে কাশ্মিরে অতিরিক্ত একশ’ কোম্পানি বা দশ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল দু’দিনের জম্মু-কাশ্মির সফর শেষে সেখান থেকে ফিরেছেন। এর পরেই রাজ্যটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশাল সংখ্যক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। দশ হাজার জওয়ানের মধ্যে আধাসামরিক বাহিনীর ৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১০ কোম্পানি বিএসএফ, ৩০ কোম্পানি সশস্ত্র সীমা বল এবং ১০ কোম্পানি ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী রয়েছে।

এদিকে, ওই ঘটনায় রাজ্যটিতে কিছুটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আজ (শনিবার) রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্তে জম্মু-কাশ্মিরের মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও অভাব নেই। জম্মু-কাশ্মির একটি রাজনৈতিক সমস্যা যা সামরিক উপায়ে সমাধান হবে না। ভারত সরকারকে তার নীতি পুনর্বিবেচনা করা ও উন্নত করা দরকার।

জম্মু-কাশ্মির পিপলস মুভমেন্টের সভাপতি ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা শাহ ফয়সাল ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, কাশ্মিরে অতিরিক্ত একশ’ কোম্পানি জওয়ান মোতায়েনের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। গুজব রটেছে যে বড়সড় কিছু হতে চলেছে। তাঁর প্রশ্ন- এটা কী ৩৫-এ অনুচ্ছেদের জন্য?

জম্মু-কাশ্মিরের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৫-এ ধারা তুলে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের ‘বন্দি মুক্তি কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস আজ (শনিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কাশ্মিরের বিষয়টা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক বিষয়। সামরিক বাহিনী দিয়ে যে কিছু হবে না তা আর গবেষণার বিষয় নয়। এত বছর ধরে, প্রায় পাঁচ দশক ধরে প্রমাণ হচ্ছে যে সামরিক অভিযান এর সমাধান নয়। আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এই সরকারের ‘ডিএনএ’তে আলাপ-আলোচনার কোনো জায়গা নেই। সেজন্যেই উগ্র জাতীয়তাবাদকে চাগিয়ে তোলার জন্য তারা ওই পদক্ষেপ নিয়েছে। এরফলে কাশ্মিরসহ দেশের জনগণের দুর্ভোগ ও দুর্গতি বাড়বে বলেও ‘বন্দি মুক্তি কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস মন্তব্য করেন।

Bootstrap Image Preview