Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বৃদ্ধা মাকে ‘তালাবদ্ধ’ করে রাখে মেয়ে, উদ্ধারে হাইকোর্টে ছেলে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩৭ PM
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গর্ভধারিণী মায়ের সম্পত্তির অংশ না পেয়ে ‘রাগে ক্ষোভে’ মাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখেছেন তারই মেয়ে। অন্যদিকে মাকে উদ্ধার করতে থানায় গিয়ে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ছেলে।

সম্পত্তির লোভে ৭০ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা মা ছায়াতুনন্নেছাকে তালাবদ্ধ করে রাখা মেয়ের নিকট থেকে উদ্ধারের যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে একমাত্র ছেলে মো. জাহিদ রহমান রুবেল। রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ছেলে রুবেলের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। রিটকারী জাহিদ রহমান রুবেল সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী (ক্লার্ক)।

রিটে বৃদ্ধা মা ছায়াতুনন্নেছাকে হাইকোর্টে উপস্থিত করানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত ১৫ জুলাই ওই বৃদ্ধা মাকে তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে করা আবেদন নিষ্পত্তিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, নাজনীন বেগম রুচিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।

এ বিষয়ে তিনি জানান, ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছায়াতুনন্নেছাকে তেজগাঁও এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ীর মাতৃছায়ার অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে গত রমজান থেকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটকে রেখেছেন তারই মেয়ে নাজনীন বেগম রুচি (৪০)।

তিনি আরও বলেন, সেখানে তাকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার পর রাজি না হওয়ায় নির্যাতন করছেন রুচি। গুলশানের একটি স্কুলে চাকরি করেন রুচি। চাকরির উদ্দেশে প্রতিদিন সকাল সাতটায় গুলশান যাওয়ার আগে মাকে নির্জন কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে যান। রুচি বাসা ফেরেন সন্ধ্যা সাতটায়।

রিটকারী ছেলের রবাত দিয়ে তিনি বলেন, এর আগে গত রমজানে বৃদ্ধার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান তার ছেলে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। তাদের (রুবেল ও রুচি) পিতা লুৎফর রহমান ২০০৭ সালের ১২ জুলাই মারা যান। গত ৯ জুলাই রিট আবেদনকারী জাহিদ রহমান রুবেল মাকে দেখতে গেলে মাস্তান দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় নাজনীন বেগম রুচি।

এ ঘটনায় তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরপর গত ১৫ জুলাই পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ চারজনের বরাবরে আবেদন করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview