লক্ষ্মীপুরে বিয়েবাড়ির মঞ্চে বরের হাত ধোয়ার বকশিশ কম দেয়া নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় সালিশ বৈঠক হয়েছে। বিচার চেয়ে বর মোরশেদুল আলম মুসার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা ১১টার দিকে সদর মডেল থানায় এ বৈঠক হয়।
এতে পৌরসভার দুইজন কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বর ও কনেপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে কনের মামা তোফায়েলের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধের পাশাপাশি উভয়পক্ষকে কোলাকুলি করানো হয়। এ সময় বর ও উপস্থিত সবাই মুচকি হেসেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গোলাম মোস্তফা, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান শিপন, বরের বাবা আবদুল মুনাফ, ভাই মো. ফারুক ও কনের বাবা আবু তাহের প্রমুখ।
থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৬ জুলাই) লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর এলাকার তানিয়া আক্তারের সঙ্গে বাঞ্চানগর এলাকার মোরশেদুল আলম মুসার বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই সময় মঞ্চে বরের হাত ধোয়ার বকশিশ কম দেয়ায় কনেপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে কনের মামা তোফায়েলসহ কয়েকজন বর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালিয়ে ১২ জনকে আহত করেন। এতে বরের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি সাজ-গয়না তছনছ করা হয়। মারামারির সময় বরপক্ষের দুটি স্মার্টফোন, ১২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে এ বিষয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন বর।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা বলেন, থানায় সালিশি বৈঠকে দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মারামারির ঘটনা মীমাংসা করা হয়েছে। জরিমানার পর দুইপক্ষকে কোলাকুলি করিয়ে মিলিয়ে দেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতেই বিয়েবাড়িতে মারামারি হয়েছে। সালিশি বৈঠকে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের সম্মতিতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কনের মামার জরিমানা করা হয়েছে। এতে কারও আপত্তি ছিল না।