মায়ের পাশ থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তিন বছর বয়সী শিশুটিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে শিশুটির মাথা।
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জামশেদপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এমন একজন রয়েছেন, যিনি ২০১৫ সালে একটি শিশুকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। বহুদিন জেল খেটে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন ওই লোক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রেলস্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি বস্তির পেছনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ছিল শিশুটির ছিন্নভিন্ন মরদেহটি। পুলিশ সেখান থেকেই মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে তার কাটা মুণ্ডটি এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, জামশেদপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার রাতে মায়ের পাশে ঘুমোচ্ছিল শিশুটি। প্ল্যাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি এসে শিশুটিকে কোলে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মা তাঁর পাশে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে পুলিশকে জানান।
শিশুটির মা পুলিশকে জানান, স্বামীকে ছেড়ে যার সঙ্গে তিনি পুরুলিয়া থেকে চলে এসেছিলেন জামশেদপুরে, সেই ব্যক্তিই শিশুটির অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে তার সন্দেহ।
সেই ব্যক্তি ওই নারী ও তার শিশুটির সঙ্গে সেদিন জামশেদপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই ছিলেন। পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে।