ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশে বিয়ের আগে দৈহিক সম্পর্ক করায় যুবক যুবতীকে একটি স্টেডিয়ামে মঞ্চ স্থাপন করে প্রকাশ্যে ১০০ বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
এ সময় উৎসুক বিপুল সংখ্যক মানুষ তা উপভোগ করছিলেন। অন্যদিকে ব্যথায় আর্তনাদ করছিলেন ওই যুবতী। তিনি বার বার করুণা ভিক্ষা চাইছিলেন। যুবকটি ছিল সাদা শার্ট পরা।
তাকে এতটাই জোরে বেত্রাঘাত করা হয় যে, তাতে তার ত্বক ফেটে রক্তে রঞ্জিত হয় শার্ট। এখানেই শেষ নয়। তাকে এ অপরাধের জন্য ৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা হয়েছে, যখন বেত্রাঘাত করা হচ্ছিল তখন ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী ব্যথায় বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। তারপরও তাকে প্রহার করতে থাকেন মুখোশ পরা দণ্ডদাতারা।
তিনি করুণা ভিক্ষা চাইলেও শরিয়া কঠোর আইনের অধীনে তার শাস্তি পূর্ণ করা হয়। বান্দা আচেহ প্রদেশের লোকসেমাউয়েতে একটি স্টেডিয়ামে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়। ব্যবহার করা হয় তেল দিয়ে পাকানো বেতের লাঠি।
উল্লেখ্য, বিয়ের আগে এমন যৌন সম্পর্ক স্থাপন ইসলামিক আইনে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ ওই অঞ্চলে। একই রকম শাস্তির বিধান রয়েছে জুয়া ও মদ পানের ক্ষেত্রেও।
ওদিকে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো প্রকাশ্যে এভাবে বেত্রাঘাতকে বর্বর শাস্তি বলে অভিহিত করেছে। তারা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর কাছে এমন শাস্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু আচেহ প্রদেশে বসবাস প্রায় ৫০ লাখ মুসলিমের। তারা ধর্মের ভিত্তিতে এমন শাস্তিকে সমর্থন করেন। মার্চে সন্তান ও পরিবারের সামনে প্রকাশ্যে ৫ দম্পতিকে একইভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে বেত্রাঘাত করা হয়েছে এক নারীকে। তা দেখে উৎসুক জনতা উল্লাস করেছিল। আরেকজন নারীর ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল।