Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

যেভাবে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয় সিঙ্গাপুরে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৩১ PM
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল এনভায়ারনমেন্ট এজেন্সির(এনইএ) কর্মীরা নিয়মিত মানুষের ঘরে ঘরে এবং এলাকায় এলাকায় গিয়ে পাবলিক স্পেস, কনস্ট্রাকশান সাইট এবং হাউজিং এস্টেটে ডেঙ্গু মশার জন্মস্থল খুঁজে ধ্বংস করে থাকে।

এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ হাজার পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে যার মধ্যে ১ হাজার ৮০০ অভিযান চালানো হয়েছে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশান সাইটে।

এনইএ এর মাধ্যমে ২ হাজার ৯০০ ব্রিডিং গ্রাউন্ড বা মশার আবাসস্থল খুঁজে বের করে ধ্বংস করেছে।

২০১৮ সালে এনইএ মোট ১০ লাখ পরিদর্শন কার্যক্রম চালিয়েছে যার মধ্যে ৯ হাজারটি ছিল কনস্ট্রাকশান সাইটে। এর মাধ্যমে সে বছর মশার প্রায় ১৮ হাজার ব্রিডিং গ্রাউন্ড বা জন্মস্থল ধ্বংস করা হয়।

পরিদর্শন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশান সাইটের মতো সম্ভাব্য বিপদজনক স্থানের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়।

সিঙ্গাপুরের আইন অনুসারে নির্মাণ কাজের সময় কন্ট্রাক্টরদের পেস্ট কন্ট্রোল অফিসার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিতে হয় যাদের কাজ হলো প্রতিদিন সকালে মেঝে পরিষ্কার করা এবং দুই সপ্তাতে একবার মশক রোধী তেল প্রয়োগ করা যেন এসব সাইটে জমা পানিতে মশা জন্মাতে না পারে, বায়ু চলাচল বন্ধ হয়ে মশার লার্ভা মারা যায়।

এনইএ প্রতি মাসে অন্তত একবার কনস্ট্রাকশান সা্ইটগুলো পরিদর্শন করে, আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা করা হয় এমনকি সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ করেও দেওয়া হয়।

২০১৮ সালে এরকম ৪০টি নির্মাণকাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করা হয়। এভাবে নিয়মিত নজরদারির ফলে ২০১৩ সালে যেখানে ১১ শতাংশ কনস্ট্রাকশান সাইটে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিলে, সেখানে ২০১৯ সালে তা মাত্র ৪ শতাংশে নেমে আসে। এনইএ'র নিজস্ব কর্মীর পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রিভেনশান ভলান্টিয়ারের মাধ্যমেও আবাসিক এলাকায় পরিদর্শন কার্যক্রম চালানো হয়। এনইএ এরকম ৮ হাজার ৫০০ ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যারা এলাকায় এলাকায় মানুষকে সচেতন করার কাজ করে। ডেঙ্গু মশার বৃদ্ধির উপর নজর রাখার জন্য এনইএ গোটা সিঙ্গাপুর জুড়ে ৫০ হাজার গ্রেভিট্র্যাপ (Gravitrap- ডিমপাড়তে ইচ্ছুক স্ত্রী এডিশ মশা আটকানোর বিশেষ ফাঁদ) স্থাপন করেছে।

এর ফাঁদের মধ্যে আটকানো মশার তথ্য থেকে এনইএ ধারণা করতে পারে কোন কোন এলাকায় এডিশ মশার প্রাদুর্ভাব বেশি হচ্ছে, ফলে সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে কোথায় কোথায় অভিযান পরিচালনা করলে সবচেয়ে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে।

তাছাড়া এই ফাঁদের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক এডিশ মশা মারা সম্ভব হয়। এই গ্রেভিট্র্যাপ নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে এনইএ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে ২১ শতাংশ বেশি মশার জন্মস্থান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

বিস্তারিত জানতে দেখুন: ১) Vector Control and Surveillance Operations in the Republic of Singapore by Minako Jen Yoshikawa ২) NEA Urges Continued Vigilance In Fight Against Dengue available in NEA website

Bootstrap Image Preview