Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ রবিবার, জুন ২০২৫ | ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৪৭ PM
আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


২০১৯ সাল শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে নতুন করে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। এ মুহূর্তে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী-সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও বছর শেষের আগেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিশেষ পর্যবেক্ষকদের এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক ইসলামী জঙ্গি কার্যক্রমের এক শঙ্কাজনক চিত্রই উঠে এসেছে বলে জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে যাওয়া ৩০ হাজারের মতো বিদেশি নাগরিক এখনো জীবিত রয়েছেন। তাঁদের নিয়েই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ।

তারা আল-কায়েদা কিংবা নতুন করে গড়ে ওঠা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারে। তাদের মধ্যে কেউ এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতাও হয়ে উঠবে, আবার কেউ হবে হামলার পৃষ্ঠপোষক।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দৃশ্যত ইসলামিক স্টেটকে বিলুপ্তপ্রায় মনে হলেও জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো মনে করে, আইএসের উত্থানের পেছনে যে অনুঘটকগুলো কাজ করেছে, সেগুলো এখনো রয়েই গেছে। তাই আইএস কিংবা আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী হুমকি খুব সহসাই বন্ধ হচ্ছে না।

এছাড়া জেলখানায় দারিদ্র্য, নিপীড়নের শিকার হওয়া, হতাশাগ্রস্ত, হীনমন্যতায় ভোগা ও সহিংসতার শিকার কয়েদিদের জঙ্গি মৌলবাদে জড়িয়ে পড়া অন্যতম প্রধান চিন্তার বিষয়।’

এ ছাড়া সিরিয়ায় মার্কিন সেনানিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন বন্দিশিবিরে গাদাগাদি করে আটকে রাখা হাজারো জঙ্গি ও তাদের পরিবারও বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক শিশু তুলে এনেছিল আইএস জঙ্গিরা। আর অনেক শিশুর জন্মও দিয়েছে এসব জঙ্গি। এসব শিশু এখন এতিম, বাস্তুহীন কিংবা ছন্নছাড়া অবস্থায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের খড়গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

Bootstrap Image Preview