Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউনিফর্ম তুলে ছাত্রীর স্পর্শকাতর জায়গায় শিক্ষকের বেত্রাঘাত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৪:৫২ PM
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৪:৫২ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


পড়া না পারায় ছাত্রীর ইউনিফর্ম তুলে স্পর্শকাতর জায়গায় বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ওই ছাত্রী।

অভিযুক্ত আতাউর রহমান রাঙামাটি মডেল কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।

জানা যায়, এ ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো দোষ দেয়া হয়েছে ছাত্রীকে। তাই, ক্ষোভ সামলাতে না পেরে স্কুলের ছাদ লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে।

এ ঘটনায় শিক্ষক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ৩০ জুলাই ক্লাসে পড়া দিতে ভুল করেছিল ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সেদিন অনেকেই পড়া দিয়ে পাড়েনি। তাই, শিক্ষক আতাউর রহমান মোটা বেত এনে সবাইকে পিটিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী মেয়েটির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আরও নির্দয়। আতাউর ওই ছাত্রীর ইউনিফর্ম নিজ হাতে তুলে স্পর্শকাতর জায়গায় বেত্রাঘাত করেছিলেন।

ছাত্রীরা আরও জানায়, শিক্ষক আতাউরের আচরণ আগে থেকেই ছিল অশালীন। প্রায়ই তিনি ওই ছাত্রীকে বলতেন ‘এমন জায়গায় মারবো কাউকে দেখাতে পারবি না।’

এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানকে ঘটনাটি জানান। কিন্তু ফল হয় উল্টো। সহকারী প্রধান শিক্ষক মেয়েটির ঘাড়েই দোষ চাপান। তার সঙ্গে যোগ দেন স্কুলের শিক্ষিকা ফারজিয়া বেগম ও স্কুলের আয়া। এ দুজন মা-মেয়ের সামনেই অশ্লীল সব কথাবার্তা বলতে লাগলেন। এ অপমান সহ্য করতে পারেনি অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী। রাগে-ক্ষোভে স্কুলের ছাদে গিয়ে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে সে। এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছাত্রীটি।

Bootstrap Image Preview