Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ রবিবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগামীকাল জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভের ডাক কাশ্মীরিদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০১:০৫ PM
আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০১:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারত এবং পুরো বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে। জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলসহ উপত্যকায় সেনা বাড়ানো এবং রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেফতারে কাশ্মীরি জনগণ বিক্ষুব্ধ। 

এর প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভে যোগ দিতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাশ্মীরের নেতারা।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।

রয়টার্স জানিয়েছে, যৌথ প্রতিরোধের নেতৃত্ব নামক একটি গ্রুপ কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছে। সেখানে লেখা, ‘তরুণ থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে পুরুষ- সবাই জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভে যোগ দেবেন।’

কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে শ্রীনগরে জাতিসংঘের মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। আন্দোলনকারীরা শুক্রবার ওই অফিসের দিকে যাত্রা করবেন।

গত ৫ আগস্ট অঞ্চলটির বিশেষ সুবিধা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য ঘোষণা করে বিজেপি সরকার।

এর আগের দিন থেকে অঞ্চলটিতে ইতিহাসের কঠোরতম নিরাপত্তা পরিস্থিতি জারি করা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনাসদস্য। তখন থেকে অঞ্চলটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

তবে গেল ৯ আগস্ট (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর কারফিউ ভেঙ্গে শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিক্ষুদ্ধ কাশ্মীরিরা। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরও দেখা গেছে এ সব বিক্ষোভে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকতা জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে কারফিউ জারির পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে। তবে ভারত সরকার বিক্ষোভের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

বিক্ষোভে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা কালো পতাকা এবং ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’ ও ‘৩৭০ ধারা বাতিল মানি না’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকে।

Bootstrap Image Preview