গণতন্ত্রের দাবিতে এবার রাস্তায় নেমেছে হংকংয়ের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নামে তারা। হংকংয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই কিশোর কিশোরীরাও। আর সেজন্যই এডিনবার্গ নামক স্থানে জড়ো হয় তারা।
এর আগে গতকাল বুধবার একটি রেল স্টেশনের সামনে অবস্থান নিলে বিক্ষোভকারীদের দমাতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন। সহিংসতাকারীদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে হংকং পুলিশ।
বুধবার ইউয়েন লং রেল স্টেশনের প্রবেশ পথে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। একমাস আগে এই রেলস্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা হওয়ায় সেখানে অবস্থান নিয়ে ঐ ঘটনার প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের দমনে অর্ধশত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে বাধা দিতে স্টেশনের মেঝেতে তেল ছড়িয়ে দেয়।
হংকং এ অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন রুপ নিয়েছে গণতন্ত্র দাবির আন্দোলনে। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে নানাভাবে বাধা দিয়ে যাচ্ছে, এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৪৭ জনকে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কোনো রকমের সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না।
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সি চুন চাং বলেন, ‘মতবিরোধ থাকতেই পারে, সেজন্য নিশ্চয়ই সহিংস আচরণ কাম্য নয়। যে আইন লঙ্ঘন করবে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’
এদিকে, বুধবার হংকং এ ব্রিটিশ কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে আটক থাকা এক কর্মীর মুক্তির দাবি জানান। চীনের অভিযোগ ঐ ব্যক্তি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নেয়ায় ১৫ দিন আটকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাকে। যুক্তরাজ্যও সাইমন নামে ঐ কর্মকর্তার মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মুক্তির দাবিতে পুলিশের বাধার মুখেই জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা সাইমনকে হংকং এর মানুষ মনে করে তাকে সমর্থন করতে এসেছি। চীন কোনো কারণ ছাড়াই যে কাউকে আটক করতে পারে, মানবাধিকারের ধার ধারে না।
গত মার্চে শান্তিপূর্ণভাবেই অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলে বিক্ষোভ শুরু হয় চীনের স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ হংকংয়ে। পরে তা রাজনৈতিক সংকটে রুপ নেয়।