Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাকিবের ভালো খেলার পেছনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ০৯:২৮ PM
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ০৯:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গত বিশ্বকাপে দলীয় পারফরম্যান্স যাই হোক, একক নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দুই সেঞ্চুরিসহ ৬০৬ রান। আর বল হাতে শিকার করেন ১১ উইকেট।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বলতে গেলে তিনিই বিশ্বকাপের সেরা। এক্ষেত্রে দেশীয় কোনো ক্রিকেটারই তার ধারেকাছে নেই। এমন ধারাবাহিক চোখ ধাঁধানো পারফারম্যান্সের রহস্য কী? জানিয়েছেন সাকিব নিজেই।

দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, ফিটনেস এবং পরিকল্পনা-দুটোই বিশ্বকাপে ভালো করার পেছনে কাজ করেছে।

সাকিব বলেন, বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করি চার মাস আগে থেকে। ওই সময় থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। সেরা সময়টা ছিল আইপিএলে। তখন যেহেতু খেলছিলাম না, আমার কাজ করায় খুব সুবিধা হয়েছে। এখান থেকে সালাহউদ্দিন স্যার (সাকিবের বিকেএসপির কোচ) গিয়েছিলেন দুই সপ্তাহের জন্য। আমি যে এক-দেড় মাস অনুশীলন করেছি, ওটাও খুব কাজে লেগেছে।

তাকে নিজের মতো অনুশীলন করতে দেয়ায় আইপিএলে তার দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কোচ টম মুডিসহ অন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান সাকিব। এছাড়া বিশ্বকাপের সময় পরিবারের সদস্যরা কাছে থাকায় মানসিকভাবে সাহায্য করেছে বলেও জানান তিনি।

মানসিক পরিকল্পনার পাশাপাশি ক্রিকেটীয় পরিকল্পনা সাফল্য এনে দিয়েছে সাকিবকে। তিনি বলেন, কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে কথা বলেছি। বোলিং নিয়েও এভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। গত বছর ও কাউন্টিতে প্রচুর রান করেছে। কীভাবে করল, সেসব জেনেছি।

এমসিসির মিটিংয়ে সাঙ্গাকারা আমাকে বলেছিল, ‘যত তুমি সতেজ থাকবে, নির্ভার থাকবে, তত ভালো হবে। পাগলের মতো অনুশীলন করার দরকার নেই। যদি ভালো খেল, সময়টা উপভোগ করো। ঘুরো, ফিরো। শুধু খেলার সময়টায় পূর্ণ মনোযোগ দেবে।’ এ ছাড়া মুশফিক ভাই আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ওনার সঙ্গে আমার ব্যাটিংয়ের বোঝাপড়াটাও বেশ ভালো ছিল।

বিশ্বকাপে ভালো খেলতেই হবে, এই লক্ষ্যটা কীভাবে আসলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, বড় কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি আমাকে একবার বলেছিলেন, ‘দেখো, আগে আমরা শচীনের নাম শুনতাম। ইমরান খানের কথা বলত মানুষ। কিন্তু আমাদের বলার মতো ও রকম কেউ ছিল না। এখন আমরা তোমার কথা বলতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রীর কথাটা আমার মনে গেঁথে যায়।… উনি এটা বলার পর মনে হলো, সত্যি সত্যি এ রকম কিছু একটা করা যায় কি না। যেহেতু মানুষ বলে, যেহেতু মানুষ বিশ্বাস করে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন, তার মানে তো সম্ভব! চেষ্টা তো করতে দোষ নেই। এর পরপরই ছিল বিশ্বকাপ।

Bootstrap Image Preview