Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারে বসা নারীকে বলা হলো চেকিংয়ের জন্য উঠে দাঁড়াতে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১০ PM
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১০ PM

bdmorning Image Preview


শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন ভিরালি মোদী নামে ২৮ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারী। যিনি নিজেও ২০০৬ সালে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। এরপর থেকেই তার চলাফেরার সঙ্গী হুইলচেয়ার।

তবে এই অধিকারকর্মীকেই দিল্লি এয়ারপোর্টে চেকিংয়ের জন্য হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে বলেছেন সেন্টাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক নারী সদস্য। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিরালি মোদী। অভিযোগ করেছেন সিআইএসএফ প্রধানের কাছেও।

জানা যায়, ২০০৬ সালে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ভিরালি মোদী। তারপর থেকে হুইল চেয়ারই তাঁর ভরসা। এখন থাকেন আমেরিকায়। বিশেষভাবে সক্ষমদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন। সোমবার সকালে দিল্লি বিমান বন্দরে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর।

সিআইএসএফ তাঁকে হুকুম দেয়, সিকিউরিটি চেক করার জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে। ভিরালি জানান, গত ১৩ বছর তিনি দাঁড়াতে পারেন না। কিন্তু সিআইএসএফের ধারণা হয়, তিনি নাটক করছেন। অর্থাৎ তিনি ইচ্ছা করলেই উঠে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু এমন ভান করছেন যেন উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই।

সোমবার ভিরালি দিল্লি থেকে যাচ্ছিলেন মুম্বইতে। দিল্লি বিমান বন্দরে প্রবেশ করার পরেই নিয়ম মতো তাঁকে ব্যক্তিগত হুইল চেয়ারটি জমা দিতে হয়। তিনি এক পোর্টারকে বলেন, সিকিউরিটি চেক ইনের জন্য তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে। ভিরালির ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী তখনই তাঁর সমস্যা শুরু হয়।

সিআইএসএফের এক মহিলা কর্মী তাঁকে বলেন, উঠে দাঁড়ান। ভিরালি বলেন, তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না। সিআইএসএফ কর্মী বলেন, তাঁকে দাঁড়াতেই হবে। ভিরালিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, হুইল চেয়ার ছেড়ে তাঁকে নিজে হেঁটে সিকিউরিটি চেকের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে।

ভিরালির কথায়, আমি তাদের বার বার বললাম, গত ১৩ বছর ধরে আমি উঠে দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু তাও সিআইএসএফের মহিলা কর্মী আমাকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। পরে আমি শুনতে পাই, তিনি আমার সম্পর্কে সহকর্মীদের কাছে খারাপ মন্তব্য করছেন। তিনি বলছেন, আমি নাটক করছি। ইচ্ছা করলেই নাকি আমি উঠে দাঁড়াতে পারি। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন এমন বলছেন? তিনি খুব চেঁচিয়ে বললেন, আমি কি আপনার সঙ্গে কথা বলছি? পরে সিআইএসএফের এক বয়স্ক মহিলা কর্মী এসে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেন। পরে তিনি সিআইএসএফের হেড কোয়ার্টারসে অভিযোগ জানান।

ভিরালি পরে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও তাঁকে মুম্বই বিমান বন্দরেও একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছিল। সিআইএসএফ সেবারও তাঁকে উঠে দাঁড়াতে হুকুম দেয়। তিনি যখন বলেন উঠে দাঁড়াতে পারবেন না, এক সিআইএসএফ কর্মী তাঁর পা ধরে টান দেন। তাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

Bootstrap Image Preview